ময়মনসিংহে এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদরের বাঘেরকান্দা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ বছর বয়সী গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফরিদ। তিনি সদরের হাসিবাসি গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহত সাদ্দাম হোসেন সদরের বাঘেরকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে সাদ্দাম হোসেন রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন বিকেল ৩টার দিকে সাহানা বেগম নামে এক নারী পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানে পাতা কুড়াতে গেলে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় নিহতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
‘এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনায় জড়িত ফরিদকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।’
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাসহ তার ভাইকে বিরক্ত করত। ঘটনার দিন সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার বাবা-মাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তপু তার ভাই সাদ্দামকে মেহগনি বাগানে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সাদ্দাম কেন তার বাবা-মাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরিস্থলে কেন নিয়মিত যায় না জিগ্যেস করে তপু, আনোয়ার ও ফরিদ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় তিনজন রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সঙ্গে আটকিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়।