বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ মার্চ, ২০২৩ ২৩:০২

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের মন-মানসিকতা আরও উন্নত করতে পারে। একটি চলচ্চিত্র ব্যক্তির জীবন যেমন পরিবর্তন করতে পারে, তেমনি একটি সমাজকেও বদলে দিতে পারে।’

জীবনমুখী ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের মন-মানসিকতা আরও উন্নত করতে পারে। একটি চলচ্চিত্র ব্যক্তির জীবন যেমন পরিবর্তন করতে পারে, তেমনি একটি সমাজকেও বদলে দিতে পারে।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা এ খাতকে ডিজিটাল করার আহ্বান জানান। ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স বেশি বেশি নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে সিনেমা হল নির্মাণ করার জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার আলাদা তহবিল রেখেছে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হলগুলো এনালগ, অত্যন্ত পুরনো। হল মালিকদের সঙ্গে বহুবার বসেছি, তাদেরকে বহু বার অনুরোধ করেছি- আপনারা এগুলোকে আধুনিক করে ফেলেন। এটা করার দরকার ছিল।

‘এবার আমরা এক হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে যে কেউ প্রাথমিকভাবে অল্প সুদে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যেন সিনেমা হল হয়, বিশেষ করে নতুনভাবে সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলেন। এক সময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ফিরে আসছে। মানুষ সিনেমা হলমুখী হচ্ছে। তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’

১৯৯৬ সালে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। শুধু সাধারণ মানুষের জন্য নয়, আমাদের শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্যও একটু সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। এখন আমাদের ৪৫টি টেলিভিশন চ্যানেল। এখন অনেকেই এই জায়গাগুলোতে কাজ করার সুযোগ পায়।

‘টেলিভিশনের পাশাপাশি ৩২টি কমিউনিটি বেতার ও ২৭টি এফএম বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো টেলিভিশন খুলে দিয়েছি, সারাদিন অনেকে কথা বলেন। অনেকে অনেক কথা বলার পরও কেউ কেউ বলবেন, আমরা কথা বলতে পারি না। অথচ বাংলাদেশে ২ হাজার ৪৫৫টি পত্রিকা, ১৭০টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৪টি আইপিটিভি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে সবাই তো মনভরে কথা বলছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অবশ্য একদিন মজা করে বলেছিলাম, যেই বলবে কথা বলতে পারে না- তখনই বিদ্যুৎটা বন্ধ করে দিও। তাহলে আর শোনা যাবে না। বলতে যখন পারে না, তখন বন্ধ করে দেয়াই ভালো। সেটা এমনিই বলেছি।

‘যে যত কথা বলতে চায় বলুক। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। টেলিভিশন যারা চালাচ্ছে তারা এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই চালাচ্ছে। এর আগে কিন্তু বিদেশিদের পয়সা দিয়েই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে হতো। আমরা নতুন আরও একটি স্যাটেলাইট করব। সেটা তথ্য সম্প্রচারে আরও বেশি উদ্যোগী হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মন্ত্রী হিসেবে সংসদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিল উত্থাপন করেন। আইনটি পাস করেন বঙ্গবন্ধু। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা, এফডিসির কাজ শুরু হয়। সেখানে সিনেমা নির্মাণও শুরু হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীরা এক সময় বাজে অবস্থায় পড়ে যায়। তাদের কল্যাণে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ পাস করে দিয়েছি। একটা সীল মানিও দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছে, তারাও এখানে অনুদান দিতে পারে। ট্রাস্টে যারা অনুদান দেবে তাদের তালিকাটা যেন থাকে, তাহলে দেখতে পারবে কে কতটুকু সহযোগিতা করল।’

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ অনুদান দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটু বাড়াতে হবে। আগামী বাজেটে নিজেও একটা উদ্যোগ নেব অনুদানের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেয়ার। ২৫ লাখ টাকা একটা পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য কিছু না। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য মাত্র ২০ লাখ টাকা, এটা হয় না।’

শিশুতোষ চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা অনুদানের ব্যবস্থাও করতে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দ্রুত বিএফডিসি ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটা আরও একটু সুন্দর করা দরকার বলেও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসানুল হক ইনু।

এ বিভাগের আরো খবর