কাতারে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছার মাধ্যমে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে গণভবনে ফেরার পথে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘জয় বাংলা কনসার্ট‘’ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার যান। সেখানে সম্মেলনে যোগ দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুেলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
বিভিন্ন সেশনে বক্তব্যের পাশাপাশি এসব দেশের ন্যায্য অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এর পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, কাতারের আমির, ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সেখানে বসবাসরত বাঙ্গালিদের একটি অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। কাতার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী কাতার যাওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এবং স্বল্পোন্নত সম্মেলনে এটি বাংলাদেশের শেষ অংশগ্রহণ বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন।
বাংলাদেশ ২০২১–এর নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্ত উত্তরণের ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে তিনি জানান।