বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভাই আমার ভবনের নিচেই, ধ্বংসস্তূপ সরালে মিলবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১৯

বুধবার দুপুরে সড়কের দু পাশে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। তাদের সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। সরিয়ে দেয়া হলেও স্বজনরা আবার ঘটনাস্থলের আশপাশে এসে ভিড় করছেন। কেউ খুঁজছেন ভাইকে, কেউ বা খুঁজছেন তার ব্যবসায়ী বন্ধুকে।

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কুইন টাওয়ার ভবনটির বেজমেন্টের বাংলাদেশ স্যানিটারি নামের দোকানের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান স্বপনের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা। তার ভাই তানভীর হাসান সোহাগের সন্দেহ ভবনটির নিচেই আটকা পড়ে আছেন তিনি। ধ্বংসস্তূপ সরালে পাওয়া যাবে মেহেদীকে।

বুধবার দুপুরে সড়কের দু পাশে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। তাদের সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। সরিয়ে দেয়া হলেও স্বজনরা আবার ঘটনাস্থলের আশপাশে এসে ভিড় করছেন। কেউ খুঁজছেন ভাইকে, কেউ বা খুঁজছেন তার ব্যবসায়ী বন্ধুকে।

ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সোহাগ। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই তার ভাই মেহেদী হাসানের স্বপনের কোনো খোঁজ তারা পাচ্ছেন না।

ঘটনার পর থেকে মেহেদীর ফোন নম্বর বন্ধ আছে। সোহাগ বলেন, ‘সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা বার বার বলেছি। আমার ছোট ভাই ভবনের নিচেই আছে। একটু খোঁজ করলেই তারে পাওয়া যাবে। ভাইয়ের খোঁজে মেডিক্যালে গেছি, পাইনি। ভাই আমার এখানেই আছে।’

মেহেদীর দোকানটি কোথায়, তা উপস্থিত লোকজনকে দেখাচ্ছিলেন সোহাগ। তিনি বলছিলেন, ‘এই সিঁড়িটার নিচেই আমার ভাইয়ের দোকান। ধ্বংসস্তূপ সরালে সিঁড়িটার নিচে ভাইকে পাওয়া যেতে পারে।’

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

নিখোঁজ মেহেদীর মামাশ্বশুর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মেহেদী এখানে ম্যানেজার ছিলেন। তার সঙ্গে দুইজন ছিল। তাদের গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু মেহেদীকে এখনো পাওয়া যায়নি। রাত থেকে সে নিখোঁজ। মেহেদী প্রায় ২০ বছর যাবত ঢাকায় চাকরি করছে।

‘মেহেদীর এক ছেলে ও মেয়ে আছে। তার বাড়ি নোয়াখালী। মেহেদীর ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বয়স ছয় বছর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মেহেদী।’

এ বিভাগের আরো খবর