রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১০ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এরপর রাতে ওই ১০ জনের মধ্যে মুসা নামে এক রোগী মারা যান। তিনি এসডিইউর ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সামন্ত লাল বলেন, ‘কালকের (মঙ্গলবার) দুর্ঘটনায় আমাদের এখানে ১১ জন রোগী ছিল, তার মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিক্যালে ট্রান্সফার করা হয়েছে। কারণ তার বার্ন নাই। যে ১০ জন আছে, তার মধ্যে তিনজন আইসিইউতে, দুইজন লাইফ সাপোর্টে আছে। আর বাকি পাঁচজন এসডিইউতে।’
চিকিৎসাধীনদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন জানিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, ‘যারা আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। কারণ কারও ৮০ পারসেন্ট, কারও ৯০ পারসেন্ট, কারও ৫০ পারসেন্ট, এ রকম। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, যেহেতু সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
কে কোথায় ভর্তি
মো. হাসান ও জাহান আইসিইউতে ভর্তি। হাসান আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে এবং জাহান ৯ নম্বর বেডে আছেন।
জলিল শিকদার, খলিল শিকদার, ইয়াসিন আলী, মো. বাবলু, আল-আমীন, বাচ্চু মিয়া পোস্ট ওপারেটিভে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া আজম ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর বেডে ভর্তি আছেন।
মোস্তফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বার্ন ইউনিট থেকে ঢাকা মেডিক্যালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কার কত শতাংশ পুড়েছে
মো. হাসানের দেহের ১২ শতাংশ, জাহানের ৫০ শতাংশ, মো. মুসার ৯৮ শতাংশ, জলিল শিকদারের ২০ শতাংশ, খলিল শিকদারের ৮ শতাংশ, ইয়াসিন আলীর ৫৫ শতাংশ, মো. বাবলুর ১৮ শতাংশ, আল-আমীনের ১৫ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার ৪০ শতাংশ এবং আজমের ৮০ শতাংশ পুড়েছে।
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
এ দুর্ঘটনায় আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনওেএকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।