রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান আবার শুরু হয়েছে।
হালকা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বুধবার ‘লাইট রেসকিউ অ্যাকটিভিটি’ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লাইট রেসকিউ (হালকা যন্ত্রপাতি দিয়ে) অভিযান করছি। ডেড বডি লোকেট (শনাক্ত) করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হচ্ছে।
‘সেনাবাহিনী, সিটি করপোরেশন, রাজউকের ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি হয়েছে। বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ; এটাকে সাপোর্ট দিতে হবে। তারপর হেভি রেসকিউ একটিভিটিজ চালানো হবে।’
ফায়ার সার্ভিসের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘হাতে বহন করার মতো যন্ত্রপাতি দিয়ে আমরা রেসকিউ অভিযান করছি। ডেড বডি বা ভেতরে আটকে পড়াদের লোকেট করে সে অনুযায়ী ছোট ছোট গর্ত করে তাদের বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
‘এখনই ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। করলে পুরো ভবনটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্সপার্টদের অপিনিয়ন নিয়ে হেভি রেসকিউ অভিযান হবে।’
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তাদের ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে।
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
এ দুর্ঘটনায় আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ওই তিনজন হলেন মো. মেহেদী হাসান, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া সেলিম ও রবিন হোসেন।
ঢাকা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহমান নিউজবাংলাকে বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রাতে পাঁচজনের পরিবার তাদের স্বজন নিখোঁজের দাবি করেন। পরে দুইজনের খোঁজ পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।’