রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারানো মুন্সীগঞ্জের দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার সকালে নিজ নিজ এলাকায় তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার রাতে ভবন থেকে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর রাত তিনটার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার ৫০ বছর বয়সী মহিউদ্দিন আখন্দ। তিনি ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেটের একটি স্যানেটারির দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দোকানেই বসা ছিলেন বলে তার ভাতিজা হামিদুর রহমান জানিয়েছেন।
হামিদুর রহমান আরও জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে আধারার সৈয়দপুর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে মহিউদ্দিন আখন্দের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
অপরজন ৩৩ বছর বয়সী আবু জাফর সিদ্দিক তারেক গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের বড় ভাই পুলিশ সদস্য মো. মাসুদ জানান, স্যানেটারি পণ্য আনতে গিয়ে ক্যাফে কুইন রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তারেকের সঙ্গে থাকা তার চাচাতো ভাই আওলাদ বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের সাত তলা ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।