গুলিস্তানে সিদ্দিক বাজারে ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের ভবনটির বেজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ভবনটিতে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই তথ্য জানান ঘটনাস্থলে আসা সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমের লিডার মেজর মো. কায়সার বারী। একইসঙ্গে তিনি জানান, ভবনটিতে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জানিয়ার ব্রিগেডের বোম ডিসপোজাল টিমের লিডার মেজর কায়সার বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে বিস্ফোরণ হয়েছে বেজমেন্ট। বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণে যে ক্ষয়ক্ষতি তাতে আমাদের মনে হয়েছে, এতে কোনো বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়নি।’
মেজর কায়সার বলেন, ‘আমরা বোম্ব ডিসপোজাল টিম নিয়ে বেজমেন্টে প্রবেশ করতে পারিনি। ডিভাইস দিয়ে যতদূর অ্যাপ্রোচ করা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো এক্সপ্লোসিভের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
‘ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থা থেকে বলেছে, বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার্স পর্যবেক্ষণও বলছে, বিল্ডিংয়ের অনেক বিম নষ্ট হয়েছে। কলামগুলোর অবস্থাও ভালো না। সেজন্য বিল্ডিংটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংটিকে স্ট্যাবল করার পর বেজমেন্টে যেতে পারলে আমরা আরও কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারব। সিটি করপোরেশন, বুয়েটসহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মতামত নিয়ে বিল্ডিংটি স্ট্যাবল করতে হবে।’
স্ট্যাবল করতে কতটা সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে মেজর কায়সার বলেন, ‘ভবনটি স্ট্যাবল করতে এক্সপার্ট অপিনিয়ন প্রয়োজন। আমার টিমের মূল এক্সপার্টিজ বোম্ব ডিসপোজাল নিয়ে।
‘তবে স্ট্যাবল করার বিষয়টি জটিল বলে মনে হয়েছে। বিস্ফোরণে বিম ও কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটি ৭ তলা। বিমের মাধ্যমে লোড কলামে ট্রান্সফার হচ্ছে না। এসব কারণে আমরা এখনই বলতে পারছি না স্ট্যাবল করতে কতটা সময় লাগবে।’
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে বিপুল পরিমাণ এক্সপ্লোসিভের প্রয়োজন হতো। সে পরিমাণ এক্সপ্লোসিভ ব্যবহার হলে আমরা গন্ধ পেতাম। আমাদের ডিভাইস ও বিভিন্ন সংস্থার ডগ স্কোয়াডও এক্সপ্লোসিভের কোনো উপস্থিতি পায়নি।’