অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় দুদক সময়ের আবেদন করেন। সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ দেন বিচারক।
এর আগে গত বছরের ১২ জুন বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এই মামলা করেন।
মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের নামে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। একইসঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাওয়া খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।