রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, সম্ভবত দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় সোমবার সকালে পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সায়েন্স ল্যাবের তিন তলা ভবনে রোববার সকালে বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন ১৪ জন। এর বাইরে পপুলার হাসপাতালেও বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এটা মেসিভ (বিশাল) দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি।
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা।’
এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণ নাকি অন্য কিছু থেকে সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান বলেন, ‘দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্স ল্যাবের ঘটনা, তা জানতে আমি নিজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। তারা সেখানে কাজ করেছেন। তাদের বোম ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, নাশকতার কোনো আলামত পাইনি। এটা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত অনেক দিন এক জায়গায় জমে থাকা গ্যাস থেকে কোনো কারণে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া আমার মনে হয় অন্য কিছু নয়।’
পুরান ঢাকার নিমতলী ও চুড়িহাট্টার ঘটনার পরও রাসায়নিকের গুদাম ও কারখানা সরানো যায়নি।
এ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে ফায়ার সার্ভিস কিংবা সিটি করপোরেশন কেউই কাউকে কেমিক্যাল গোডাউন করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় কোনো এনওসি বা অনুমতি দিচ্ছি না। সেখানে এখনও যা হচ্ছে, সম্পূর্ণ অবৈধ।
‘আমার বা ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা; মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা। পুরান ঢাকায় কেন এখনও কেমিক্যাল গোডাউন, কারখানা কিংবা বিক্রি হচ্ছে সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ভালো বলতে পারবে।’