বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় পাসপোর্ট দালালচক্রের ২৪ জন গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ৬ মার্চ, ২০২৩ ১১:১৭

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, তারা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত রেট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।

কুমিল্লায় পাসপোর্ট দালালচক্রের মূল আসামিসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার শাকতলা গ্রামের শাকিল আহম্মেদ সুজন, কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার শাহাদাত হোসেন, আদর্শ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মো. শরীফ, একই গ্রামের মাসুক, লিটন, ডালিম সরকার, মো. ইরফান, শওকত আলী ওরফে শওকত আকবর, ওজায়ের হোসেন সাকিব, কুমিল্লা নগরীর নতুন চৌধুরী পাড়ার দেলোয়ার হোসেন রোমান, মুরাদনগর উপজেলার কুরুইল গ্রামের আব্দুর রহিম, আদর্শ সদর উপজেলার মূড়াপাড়া এলাকার ইশান আহম্মেদ রাব্বি, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মগধারা গ্রামের মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, আদর্শ সদর উপজেলার মো. শাফি, একই গ্রামের মো. তুহিন, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার ব্রীজপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন রুবেল, কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ছোটরা গ্রামের মাজহারুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলার পয়াত গ্রামের আব্দুল হান্নান বাবুল, একই গ্রামের হাছিবুল হাসান জিমি, বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের তানজিদ হাসান, দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর গ্রামের ইমরুল হাসান ওরফে ইমরুল, বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এবং আদর্শ সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম।

মেজর সাকিব জানান, বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর রোববার বিকেল থেকে পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় দালাল চক্রের মূলহোতাসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের কাছ থেকে ২০টি পাসপোর্ট, ১০৮টি ডেলিভারি স্লিপ, ২৯টি জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড, ১টি মোবাইল সেট, ৭টি বিভিন্ন সীল, ১টি প্যাড, ৪৩ হাজার টাকাসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, তারা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত রেট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।

মূলত তারা তিনটি গ্রুপে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে পাসপোর্ট তৈরি করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের কাছে নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারি স্লিপ নিজেদের কাছে রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারি করার নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল বলে জানায়। সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর