বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ সিটির নির্বাচন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ মার্চ, ২০২৩ ২২:৪৭

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ নির্বাচন। সে লক্ষ্যে ভোটের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে ইসিকে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর প্রথম দিকেই সিটি করপোরেশনগুলোর ভোট শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জুনের মধ্যে দুই সিটির নির্বাচন করা হবে। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বাকি তিন সিটির ভোট শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটের ক্ষণগননা ডিসেম্বরে শুরু হওয়ায় এই সিটি নিয়ে আপাতত ভাবছে না সাংবিধানিক সংস্থাটি।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ নির্বাচন। সে লক্ষ্যে ভোটের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে ইসিকে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর প্রথম দিকেই সিটি করপোরেশনগুলোর ভোট শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

জুনের আগে দুই/একটি সিটির ভোট হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাকিগুলো জুনের পর। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটির ভোট শেষ করব আমরা।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে সেখানে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সেক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১১ মার্চ। এখানে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণগননা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। এখানে ভোট করতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির ভোট করতে হবে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। কেননা এখানে ৬ মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। আর ময়মনসিংহ সিটি ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর। এখানে আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আমাদের। আলোচনা হয়েছে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট সিটি নিয়ে। কেননা এগুলোর নির্বাচন মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা করতে হবে। কমিশনের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে সিটি নির্বাচনগুলো ৬ মাস সময়সীমার শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করার।’

চার সিটির ভোট একদিনে হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘একদিনে হবে না। ময়মনসিংহ সিটির ভোটের অনেক দেরি আছে। ওটাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যে আনছি না। বাকি ৫টির ভোট দুই দিনে হতে পারে। আবার তিন দিনেও হতে পারে।’

গাজীপুরে স্থানীয়ভাবে তফসিল ঘোষণা হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তফসিল কবে হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। গাজীপুর নিয়ে আমরা (কমিশন) কোনো তফসিল ঘোষণা করিনি। তবে ১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময়ে এখানে নির্বাচন হতে পারে।’

সিটি নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপর৷ আমরা বাজেট চাইব। টাকা পেলে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করব।’

সিটি নির্বাচনগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের আগ্রহ আছে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘নতুন ইভিএম আসেনি। বিদ্যমান ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সে জন্য টাকা লাগবে। সার্ভিসিং করিয়ে সচল করতে পারলে তখন বলা যাবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করব। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে ভোট করা।’

সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার নির্ভর করছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা নিয়ে সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে বলে মনে করি না। সরকার থেকে এ বিষয়ে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। দলের কেউ মন্তব্য করতেই পারেন। দলের সঙ্গে সরকারের মন্তব্য ‌এক করে ফেলা যাবে না। সরকার আর দল কিন্তু এক নয়।’

‘সিসিটিভি ক্যামেরা ভোটের অনুষঙ্গ নয়। আইনে কোথাও বলা নেই যে সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে। এটা বাড়তি ব্যবস্থা এবং পরীক্ষামূলক ছিল৷ টাকা পেলে সব আসনে না করলেও ঝুঁকিপূর্ণ আসনগুলোতে আমরা ক্যামেরা ব্যবহার করব।’ যোগ করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

এ বিভাগের আরো খবর