হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির ১৪ গ্রাহকের পক্ষে রহিমা আক্তার নামের একজন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
রিটে অর্থ সচিব, ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলিটরি অথোরিটির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরিচালকদের প্রতারণার খপ্পরে হোমল্যান্ড লাইফ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাত নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটকারীপদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সঙ্গে থাকবেন আইনজীবী আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম, আক্তার রসুল মুরাদ ও দিদারুল আলম দিদার।
রিটে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি আর্জি জানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরতে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন প্রবাসী সিলেটের পরিচালকদের একটি গ্রুপের প্রতারণার খপ্পরে হোম ল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স। এই গ্রুপটি কোম্পানির তহবিল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
বোর্ড সভার কার্যবিবরণী জালিয়াতি, জমি ক্রয়ে ভুয়া নথি তৈরি, কমিশন ও অন্যান্য খাতে খরচের ভাউচার তৈরি করে এসব টাকা আত্মসাত করা হয়। নথিপত্রে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের নামে অস্তিত্ববিহীন জমি কেনা হয়েছে। আবার সেই জমিতে মাটি ভরাট ও কাটা তারের বেড়া তৈরির নামে আরও অর্থ লোপাট করা হয়েছে।