রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার তিন তলা ভবনটিতে রোববার সকালে চারটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দুপুরে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ; বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ভবনটির তিন তলায় ছোট ছোট অফিস ছিল এবং একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস ছিল।
‘যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমি মনে করি এই মুহূর্তে ভবনটিতে কারও প্রবেশ করা উচিত হবে না। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি ও পরিদর্শন করেছি।’
ফায়ার সার্ভিস রোববার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায়। ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় বাহিনীটি।
বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ১৪ জন। এর বাইরে পপুলার হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চারটি কারণে এখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে…শর্ট সার্কিট, জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও এসি বিস্ফোরণও হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে সঠিক কারণটি বলা যাচ্ছে না। সঠিক কারণ তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে।’
হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পপুলার হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে মিলে ১২ থেকে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আর শুনেছি ৩ জন মারা গেছে।’