চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বয়লারে শনিবার বিকেলে বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে রোববার জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে ইউএনও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম অলমোস্ট শেষ। ফায়ার সার্ভিসের কাজ তারা ইতোমধ্যে ক্লোজ করেছে। আমরা ফের কোনো দুর্ঘটনার শঙ্কা করছি না, তবু আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি, কাউকে আশেপাশে আসতে দিচ্ছি না৷
‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে, সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারছে না, তবে এখানে আবার কোনো বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো ঝামেলার সম্ভাবনা নেই।’
হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন তাদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বিএম ডিপোর মতো এখানেও মালিকপক্ষ থেকে একটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর গতকাল জেলা প্রশাসক মহোদয় আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসার ঘোষণা দিয়েছেন৷’
এসব কারখানা প্রশাসনের নজরদারিতে থাকে কি না জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এটা তদারকি করে। সীতাকুণ্ডে তিন শ থেকে সাড়ে তিন শ কারখানা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, পরিদর্শন করছি, অভিযান করছি।’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার শিকার প্ল্যান্টে অগ্নিনিরাপত্তা ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত করে জানানো যাবে।
বিস্ফোরণ বয়লারে
ইউএনও শাহাদাত হোসেন বিস্ফোরণের বিষয়ে বলেন, ‘যেটি বয়লার ছিল, বয়লারটি মূলত বিস্ফোরণ হয়েছে। এখানে তো রিফিল হয়, এগুলো কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
বয়লারে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসেরও। বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘মূল ঘটনা কী ঘটেছে সব সংস্থা মিলে তদন্ত করতেছে, তদন্তে জানা যাবে। আজ কিছুক্ষণ পর তদন্ত কমিটির মিটিংও আছে, তবে আমরা যা দেখেছি, ধারণা করছি বয়লারের বিস্ফোরণ ঘটেছে। মানে বয়লারের যে কম্প্রেসার, কম্প্রেশারের প্রেসারের ওখানে ব্লাস্ট হয়েছে দেখা যাচ্ছে।’
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের ধারণা, প্ল্যান্টের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঠিক কোন জয়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিশ্চিত নন তিনি।