বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত দুই শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে দাবি করছেন শিশুদের স্বজনরা।
এ ঘটনায় হাসপাতালে দায়িত্বরত দুই সেবিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অসুস্থ দুই শিশুর অভিভাবকরা জানান, শনিবার সকালে ও দুপুরের আগে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের শিশুদের ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত সেবিকা ঝুমা মিস্ত্রী ও কনিকা হালদার শিশুদের শরীরে স্যালাইন পুশ করেন। স্যালাইন শেষ হওয়ার সময় দেখা যায় শিশুদের হাত মুখ ও পেট ফুলে গেছে। পরে স্যালাইনের ব্যাগ চেক করে দেখা যায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পুশ করা স্যালাইনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। পরে তারা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ভুল চিকিৎসার প্রতিকার দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি আমি জানতে পারি, তিনটি মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শিশুদের শরীরে দেয়া হয়েছে। যেভাবেই এটা দেয়া হোক উচিত হয়নি, ওই শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় যে সেবিকারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন কোথা থেকে আসলো এবং কিভাবে দেয়া হলো সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ডা. বিমল বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।