রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে নগরীতে আবারও মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘রাজশাহী আওয়ামী পরিবার’ ব্যানারে মানববন্ধন শুরুর আগে সাহেববাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচি পালনকালে হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয় ডাবলু সরকারের অনুসারীরা।
শনিবার আয়োজিত মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল- ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও, রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক, অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল- ‘নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত রাজনীতির দুষ্টক্ষত ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
ডাবলু সরকারের ছবিতে ক্রস চিহ্ন দেয়া বেশ কিছু ফেস্টুনে লেখা ছিল- ‘ডাবলুর পেছনের গডফাদার কে, রাজশাহীবাসী জানতে চায়’, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী, নির্বাচনের বছরে কারও দ্বারা দল বিব্রত হয়, এমন কাউকে এক সেকেন্ডও দলে রাখা যায় না।’
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি আবু রায়হান। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী।
অ্যাডভোকেট আবু রায়হান তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই কলঙ্ক যেন রাজশাহী আওয়ামী লীগ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ও প্রধানমন্ত্রীর গায়ে না লাগে। নির্বাচনের বছরে যেন কারও কাছে বিব্রত হতে না হয়, সে জন্য ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার হামলা করে ব্যানার কেড়ে নেয়ার সমালোচনা করে আবু রায়হান বলেন, ‘আমরা চাই না আগামী নির্বাচনে আমাদের ওপর কোনো ধরনের কলঙ্ক নেমে আসুক, বিরোধী দল কোনো দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিক, এই ধুয়া তুলে জামায়াত-শিবির চক্র আমাদের চরিত্র নিয়ে কোনো কথা বলুক।’