চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। স্থানীয় প্রশাসন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট সম্মিলিত চেষ্টায় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে অংশ নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকার শামছুল আলম, সীতাকুণ্ডের বনুবাজার এলাকার ফরিদ , নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার ছোট মনগড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন লখরেট, নোয়াখালীর মাইজদির অলিপুর এলাকার মো. আব্দুল কাদির, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চর লরেজ এলাকার মো. সালাউদ্দিন ।
আহতদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- নূর হোসেন, আরাফাত, মোতালেব, ফেনসি, জসিম উদ্দিন, নারায়ণ, ফোরকান, শাহরিয়ার ও জাহিদা হাসান।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী বলেন, ’ সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত ১৭ জন চমেকে এবং ৪ জন সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
এর আগে সীতাকুণ্ডের ইউএনও শাহাদৎ হোসেনও নিউজবাংলাকে ছয়জনের মৃত্যুর নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বিস্ফোরণের পর প্ল্যান্টে আগুন ধরে যায়। ক্রমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি: নিউজবাংলাচমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘চমেকে আনা রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে যে কোনো সময়ে আরও চিকিৎসক আনা হবে।’