যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ’ মিটার উত্তরে নির্মিত হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মেগা প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। দেশি-বিদেশি সহস্রাধিক প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিন-রাত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে এই বৃহৎ নির্মাণ যজ্ঞ।
প্রকল্প অফিস সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের ওপর বসবে ৪৯টি স্প্যান। ইতোমধ্যে ২২টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর স্প্যান বসেছে ১৩টি। সবমিলিয়ে প্রকল্প কাজের ৫৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। ছবি: নিউজবাংলা
ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুর কাজ শেষ হলে এর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলবে ট্রেন। তখন যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে করে মানুষের যাতায়াত যেমন সহজ হবে তেমনই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ খুলবে সম্ভাবনার নানামুখী দুয়ার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর সাব-স্ট্রাকচার প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান খান জানান, এখন পর্যন্ত ২২টি পিলার হেডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গূণগত মান নিশ্চিত করে সাব-স্ট্রাকচারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলেছে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ হচ্ছে। কাজের গতি যথেষ্টই সন্তোষজনক। ইতোমধ্যে প্রকল্প কাজের ৫৮ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে।
সেতুর পশ্চিম পাশের কাজ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। কাজের গতি অব্যাহত থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।