বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালক-সহকারীকে জিম্মির পর বাসে যাত্রী উঠিয়ে ডাকাতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ মার্চ, ২০২৩ ১৪:১৩

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে দারুস সালাম থানায় ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। তাদের নামে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।’

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে আন্তজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ফখরুল কবির শান্ত, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মো. মুজাহিদ ওরফে বাবু, মো. রাজিব ওরফে আসিফ ও মো. সানি।

ডিএমপি ডিবির প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা যাত্রী সেজে বাসে ওঠে বাসের চালক ও হেলপারকে জিম্মি করে বাসের মধ্যে ডাকাতি করে। নিজেরাই যাত্রী, হেলপার ও সুপারভাইজার সেজে বিভিন্ন স্থান থেক একজন একজন করে লোক তুলে মারধর করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় এই চক্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি রিসাত পরিবহনের একটি বাস যাত্রীসহ খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ছেড়ে সুপারভাইজার-হেলপারসহ বিকেলে গাজীপুরের শিববাড়ী পৌঁছায়। সেখান থেকে পরবর্তী ট্রিপের জন্য গাজীপুর থেকে নবীনগর যায়।

‘নবীনগর বাস কাউন্টারে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় বাসটি রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন পর্বত সিনেমা হলের ডান পাশে রাস্তার ওপরে রেখে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ভেতর থেকে দরজা লক করে বাসের পেছনের সিটে ঘুমিয়ে পড়ে।

‘১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ওই স্থানে কেন গাড়ি পার্কিং করেছে তার কারণে ডাকাত দলের নেতা গ্রেপ্তার শান্তর নেতৃত্বে তার সহযোগী গ্রেপ্তার সুমন ও মনির বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের কাছে মানিব্যাগ, মোবাইল চায়। তারা অস্বীকৃতি জানালে তাদের রড, হুইলরেঞ্জ ও পাইপ দিয়ে মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের চোখ ও হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে পেছনের সিটে ফেলে রাখে।’

হারুন বলেন, ‘ডাকাত শান্ত গাড়ি চালিয়ে কিছুদূর এসে ডাকাত দলের অন্য সদস্য ইমরানকে গাড়ি চালাতে বলে। পরবর্তী সময়ে ডাকাত দলের কয়েকজন নিজেরাই যাত্রী, হেলপার ও সুপারভাইজার সেজে গাবতলী, আসাদগেট, নিউ মার্কেট, আজিমপুর, যাত্রাবাড়ী, কাচপুর হয়ে একইপথে এসে আমিনবাজার, সাভার ও চন্দ্রার বিভিন্ন স্থান থেকে একজন একজন করে লোক তুলে মারধর করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।

‘পরবর্তী সময়ে তাদের চোখ ও হাত বেঁধে বাসের পেছনে ফেলে রাখে। ডাকাতদল সারা রাত ধরে ডাকাতি করে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার দিকে আহত যাত্রীসহ বাসটি সাভার কবিরপুরে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।’

ডিবি জানায়, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মামলার বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীর বক্তব্য পর্যালোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

ডিবির প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে দারুস সালাম থানায় ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। তাদের নামে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র-মাদক মামলা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর