পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবিতে খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএমএর জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল আজ সকাল ১০টা থেকে দীর্ঘসময় আমাদের কার্যকরী পরিষদ বিএমএ, বিপিএমপিএ এবং ক্লিনিক মালিক সমিতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন।
‘আমরা আজকে দুপুর থেকে কর্মবিরতি ৭ দিনের জন্য স্থগিত করলাম। আজ সন্ধ্যা ৭টায় আমাদের সাধারণ সভা আছে। সাধারণ সভায় আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।’
শেখ বাহারুল বলেন, ‘সাত দিন আমাদের কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এই সাত দিনে যদি কৃত অপরাধী পুলিশকে হেফাজতে নিয়ে বিচারে সোপর্দ করা না হয়, আমরা আবার কর্মবিরতিতে যাব।
‘আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেব। পুলিশ প্রশাসনকে আমরা মুখোমুখি করতে চাইনি...তাকে যেন শাস্তি দেয়া হয়। অপরাধীকে শাস্তি না দেয়া আরেকটি অপরাধ।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘চিকিৎসককে অপমান করার পরিপ্রেক্ষিতে বিএমএর পক্ষ থেকে তারা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এখানে আমাদের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল এসে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
‘ওই নারী ও তার স্বামী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল হক নার্সিং হোমে এক রোগীকে অস্ত্রোপচার করছিলেন চিকিৎসক শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ। একই হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস আগে আরেক শিশু রোগীকেও তিনি অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তবে সে সুস্থ না হওয়ার অভিযোগ এনে তার বাবা পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান শেখ চিকিৎসকের ওপর হামলা করেন।
এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কর্মকর্তার নামে মামলা করেন চিকিৎসক, তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না হওয়ায় কর্মবিরতি ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির শুরুর দিন বুধবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় শিশুটির মা নুসরত আরা ময়না বাদী হয়ে ওই চিকিৎসকের নামেও মামলা করেন।