ঝিনাইদহে বিষাক্ত স্পিরিট পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্য, অসুস্থ হয়ে অনেকে গোপনে বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কালীগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রাণ হারানো তিনজন হলেন শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খাঁ, একই এলাকার রিকশাচালক বিপুল দাস ও মধুগঞ্জ বাজার ঢাকালেপাড়ার রাজিব হোসেন।
কালীগঞ্জ থানার এসআই সেকেন্দার আলী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্পিরিট বিক্রেতা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের রেজা হোমিও হলের মালিক রেজাউল ইসলাম ঘটনার রাত থেকেই পলাতক। সকালে তার হোমিওর দোকান ও মোবাইল সেটটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে শহরের নদীপাড়া ও ঢাকালেপাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর সত্যতা মেলে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, সকালে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর শুনে তিনি মৃত ব্যক্তিদের বাড়িতে যান।
তিনি বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি বৃহস্পতিবার তারা বিষাক্ত স্পিরিট পান করেছিল। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দিতে হবে।’
মৃত জাহাঙ্গীর খাঁর ছোট ভাই আলমগীর খাঁ জানান, রাতে তার ভাই অসুস্থ হলে তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন শরীর ঘামছে। এর কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
বিপুল দাসের ছেলে লেগুনাচালক সজিব জানান, রাতে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ রাজিবকে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয়।
তিনজনের পরিবারের সদস্যরা বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন।
এসআই সেকেন্দার আলী জানান, এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন, তবে স্থানীয়দের মুখে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়লেও ময়নাতদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। আলামত দেখে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে বিষাক্ত কিছু পানে তাদের মৃত্যু হতে পারে।