মাদারীপুরে বাসায় ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ এ হামলা চালিয়েছে।
শহরের আমিরাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ১৪ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রের নাম শাহরিয়ার আহমেদ। সে শহরের মাস্টারকোলনি এলাকার গোলাম আজমের ছেলে ও আচমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহরিয়ারকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার এক বন্ধু। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষ করে রাত ৯টার দিকে শাহরিয়ার তার বাসায় ফিরছিল। এ সময় কয়েকজন কিশোর শাহরিয়ারকে লক্ষ করে ধাওয়া করে গতিরোধ করে। পরে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় শাহরিয়ারের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় কিশোর দলের সদস্যরা। পরে গুরতর অবস্থায় শাহরিয়ারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহামুদ বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয়। তার পিঠে ১৪টা সেলাই দিতে হয়েছে। তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আহত ওই স্কুলছাত্রের বোন তাসমিয়া আক্তার বলেন, ‘এলাকায় আগে পরে অনেক মারামারি হইছে। কিন্তু আমার ভাই কোনো মারামারির সঙ্গে জড়িত নয়। তবুও আমার ভাইকে একা পেয়ে মারা হলো। আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এভাবে কোপানো হইছে। আমি এ ঘটনার অপরাধীদের বিচার চাই।’
ওসি মনোয়ার বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রকে একা পেয়ে কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন দিন আগে আমিরাবদ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এই কিশোরকে হামলার পেছনে আগের ঘটনা সূত্র থাকতে পারে। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।’