বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিন্ন দল করায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারীদের স্মরণ করা হয় না: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ মার্চ, ২০২৩ ১৯:০৪

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকার মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমেদের অবদান আজ স্মরণ করা হয় না। ভিন্ন দল করায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আব্দুর রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম নেয়া হয় না। সবকিছুই নাকি করেছে আওয়ামী লীগ ও একজন মাত্র ব্যক্তি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘২ মার্চ জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরেও দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধ মানে আজ আওয়ামী লীগ ও এক ব্যক্তির নাম প্রচার করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। কিন্তু তাদের নাম স্মরণ করা হয় না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম চট্টগ্রামে ওএমএসের চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছেন। মানুষ যখন খেতে পাচ্ছে না তখন প্রধানমন্ত্রী হাওরে গিয়ে ২৫ পদ দিয়ে রান্না করে উৎসব করছেন। এগুলো জনগণের সঙ্গে পরিহাস।’

আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের এক বিতর্কিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তি করেছে। ওই চুক্তির ফলে দু শ’ টাকার কয়লা চার শ’ টাকায় কিনতে হবে।

‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম আরও বাড়বে। তারা আইন করেছে, গণশুনানি না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারবে। সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতেই বার বার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকার মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমেদের অবদানও আজ স্মরণ করা হয় না।

‘ভিন্ন দল করায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আব্দুর রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা হয় না। বরং জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না। সবকিছুই নাকি করেছে আওয়ামী লীগ ও একজন মাত্র ব্যক্তি।’

ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় চেপে বসেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগ দেশের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। তারা আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।

‘ক্ষমতাসীনরা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে।’

সরকার দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিনষ্ট করে দিচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ ভোট দিতে পারছে না। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই কারাগারে যেতে হচ্ছে। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না। সৎভাবে কেউ ব্যবসা করতে পারছে না। দলীয় লোক না হলে সেই ব্যবসায়ীর প্রতি চলে নিপীড়ন।’

গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ অবস্থায় বসে থাকলে চলবে না। চলমান আন্দোলন কেবল বিএনপি বা গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলন নয়। এটা গোটা জাতির সংগ্রাম। স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রগামী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তেলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর