বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্ধার হওয়া জেলের লাশ নিয়ে স্বজনদের টানাটানি

  • প্রতিনিধি,বরগুনা   
  • ২ মার্চ, ২০২৩ ১৮:৫৭

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি  বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়ে বরগুনার পাঁচ জেলে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পর ১২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় । পরে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনও তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

ডাকতদের কবলে পড়ে নিখোজেঁর ১২ দিন পর বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া এক জেলের মরদেহকে নিজেদের বলে দাবি করছে দুটি পরিবার। এমন জটিলতায় উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষা করাবে পুলিশ।

স্বজনদের এক পক্ষের দাবি, এই মরদেহ ট্রলারের কাইয়ুম মাঝির। অপর পক্ষের দাবি, উদ্ধার মরদেহ কাইয়ুমের নয়, এটি জেলে ফরিদের।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়ে বরগুনার পাঁচ জেলে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পর ১২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় । পরে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনও তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

কাইয়ুমের ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই ভাই কাইয়ুম ও ইয়াসিন মাছ শিকারে গিয়েছিল। এদের মধ্যে ইয়াসিনকে ঘটনার একদিন পর উদ্ধার করা হলেও কাইয়ুম নিখোঁজ হয়। গত সোমবার এক জেলে আমাদের জানায় যে কাইয়ুমের লাশ পাওয়া গেছে। খবর শুনে দ্রুত ট্রলার নিয়ে আমার ভাই কাইয়ুমের মরদেহ উদ্ধার করি নিয়ে আসি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর নিখোঁজ ফরিদের পরিবার দাবি করে যে, এই মরদেহ ফরিদের।

তিনি আরও বলেন, তিন দিন আগে যখন আমরা সাগরের ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করি তখন কাইয়ুমের চেহারা বিকৃত হয়নি। আমি চেহারা দেখে নিশ্চিত হই এই মরদেহ আমার ভাই কাইয়ুমের। পরে সেটি ট্রলারে তুলে বরফ দিয়ে নিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ আরেক জেলে কালামের মরদেহ ভাসতে দেখে সেটিকে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তালতলীর ফকিরহাটে পৌঁছাই। এই মরদেহ আমার ভাই কাইয়ুমের এটি আমি নিশ্চিত।

এদিকে ফরিদের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে আমি চিনি। সড়ক দুর্ঘটনায় সে তিনটি দাঁত হারিয়েছিল। এই লাশেরও তিনটি দাঁত নেই।

ফরিদের স্ত্রী মিতু বলেন, এই লাশ কাইয়ুমের না, এটা নিশ্চিত ফরিদের লাশ।

বরগুনার সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সায়লা ফেরদৌস আহসান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা দুটি মরদেহ বিকৃত। যে লাশটিকে দুই পরিবারই নিজেদের দাবি করছে সেটির ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। ডিএনএর ফলাফলের ভিত্তিতে মরদেহ স্বজনদে কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস সালাম বলেন, উদ্ধার দুটি মরদেহের একটি আবুল কালামের। এটি নিয়ে জটিলতা নেই। বাকি আরেকটি লাশের ডিনএনএ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর