ঢাকার আদালত থেকে গত বছর দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা স্বীকার করে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ও অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, সে সময় কোনো এক জায়গায় সমন্বয়ের অভাব ছিল।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বৃহস্পতিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব গত বছরের ২০ নভেম্বর দুপুরে পুলিশের চোখ-মুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান।
ঢাকার বিচারিক আদালত এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের এ দুই সদস্যকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়িত্বরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরা যাচ্ছে না, তা নয়; আমরা অনেক জঙ্গিকে ধরেছি। অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি। যারা পালিয়েছেন তাদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। নিশ্চয়ই আমরা ধরে ফেলব।’
ওই বক্তব্যের এক দিন পর র্যাবপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা ছিল। শুধু পুলিশকেও এককভাবে বলি না; পুলিশের সঙ্গে সকলের একটা সমন্বয় থাকার কথা ছিল। এখানে সমন্বয়ের কোথাও অভাব ছিল।’
সমন্বয়ের অভাব নিয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘সমন্বয়ের অভাব থাকার কারণে ওখানে যেভাবে লোক থাকার কথা ছিল বা যখন তারা রওনা করেছে, তখন যেই তথ্য জানানোর কথা ছিল, সেই জায়গাগুলোতে কোথাও অভাব ছিল, যার কারণে এমনটা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আপনারা সামনে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমরা চাইব আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য।’
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবপ্রধান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞায় কোনো সমস্যা হবে না, আমাদের কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমাদের কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে কিছু কিছু প্রশ্ন তারা জানতে চেয়েছে। আমরা সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছি নথি-প্রমাণসহ।
‘সে ক্ষেত্রে আমাদের কাজের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, তবে আমরা ইচ্ছা করলেই যা কিছু করতে পারি না, আমাদের বিধিমালা রয়েছে। র্যাব ফোর্সেস এলিট ফোর্স। কোনো সদস্য বিন্দুমাত্র কোনো অন্যায় করেছে, এমন কোনো নজির নেই যে, সে সেখান থেকে রেহাই পেয়েছে।’