ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ সে দেশের শিলংয়ের আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তিনি এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। খবরটি তিনি নিজেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে জানান, সালাউদ্দিন আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতের শিলং আদালত থেকে খালাস পেয়েছিলেন। ভারত সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ের জজকোট এই আপিলের রায় দিয়েছে।
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমার সঙ্গে সালাউদ্দিন আহমেদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন-গতকাল (মঙ্গলবার) জজকোর্টের রায় প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে আগের রায় বহাল রেখে মামলা নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারকে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। এখন তিনি দেশে ফিরে আসতে চান।’
শায়রুল আরও জানান, রায়ের খবর জানার পর আজ (বুধবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সালাউদ্দিন আহমেদকে ফোন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সালের মার্চ নিখোঁজ হন। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দু’মাস পর ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।
উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে হওয়া মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন। পরে সরকার পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।