ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তিতাস নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
সিতারামপুর-মনতলা রুটে একটি সেতুর নিচে বুধবার বিকেলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে রাত্রি ও মাহমুদুল্লাহ নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
চিত্রা উপজেলার বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও বড়াইল গ্রামের প্রহল্লাহর মেয়ে। মাহমুদুল্লাহ রায়পুরা উপজেলা মির্জাচরের ফারুক মিয়ার ছেলে। সম্প্রতি হাফেজি পড়া শেষ করে তিনি একটি মসজিদে ইমামতি করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ২০/২২ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নবীনগর থেকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল৷ সীতারামপুরে সেতুর নিচে এসে মাঝনদীতে নৌকাটি ডুবে যায়৷
রাত্রীর মা সন্ধ্যা রাণী বলেন, ‘মেয়েটা বেশ কিছুদিন দীর্ঘদিন ধরেই দাদুবাড়ি যেতে চাচ্ছিল। আজ সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে দাদার বাড়ি দিকে রওয়ানা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী ও চালকের অদক্ষতার কারণে অপর দিক থেকে আসা নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষে নৌকাটি ডুবে যায়।’
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল সরকার স্থানীয়দের বরাতে জানান, নৌকাটি তিতাস নদী দিয়ে নবীনগর থেকে বাঁশগাড়ি যাওয়ার সময় সীতারামপুর সেতুর নিচে আরেকটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। পরে ডুবুরিরা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা হচ্ছে। তল্লাশি চলছে।