দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনপদের মধ্যে হাওরবেষ্টিত অঞ্চল সুনামগঞ্জ একটি। সুনামগঞ্জের দুর্গম উপজেলা হিসেবে পরিচিত ধর্মপাশা উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কারণে সবদিক থেকে পিছিয়ে। এই পিছিয়ে পড়া উপজেলার ধর্মপাশা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবারই প্রথম শতভাগ বৃত্তি অর্জন করেছে।
বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ স্কুল থেকে এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১ জন সাধারণ বৃত্তি লাভ করেছে। ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যাদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৫৯ জন ও সাধারণে ৭৫ জনসহ মোট ১৩৪ জন বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্যে ধর্মপাশা ২নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল বৃত্তিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
বিদ্যালয়ে শতভাগ সফলতা অর্জনে প্রধান শিক্ষক নজমুল হায়দার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই শতভাগ বৃত্তি অর্জনে আমরা আনন্দিত। এ বিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এমনটি প্রত্যাশা করছি।’