ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা সংরক্ষণে বুধবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় সব ধরনের মাছ আহরণ, কেনা-বেচা, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এসময় জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকার নিবন্ধিত জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারবেন না।
এসময়ে প্রত্যেক মাসে খাদ্য সহায়তা হিসেবে সরকার জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেবে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা ও মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় এরইমধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারনা শুরু হয়েছে । জনবহুল এলাকা ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে মৎস্য বিভাগ থেকে সাঁটানো হয়েছে ব্যনার ও পোস্টার। বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনা মোলহেড থেকে সচেতনতামূলক নৌ-র্যালি বের হওয়ার কথা রয়েছে।
তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার এলাকার জেলে জাহাঙ্গীর দর্জি জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা তারা মেনে চললেও অন্য জেলার অন্য জেলেরা এসে জাটকা ধরে নিয়ে যায়।
একই এলাকার জেলে মো. হোসেন ফকির নামের আরেক জেলে জানান, তার পরিবারের সদস্য সাতজন। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে ৪০ কেজি করে চাল দেয় তাতে তাদের সংসার চলে না।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক দেওয়ান বলেন, জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানগুলো প্রত্যেক সংস্থার আলাদা হওয়ার প্রয়োজন। কারণ নৌ-পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য জেলেদেকে জাটকা ধরার সুযোগ করে দেয়। এসব বিষয়গুলো আমি প্রশাসনকে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি।
নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার মার্চ-এপ্রিল দুইমাস জাটকা রক্ষায় ৭০ টি স্পিডবােটে দেড় হাজার পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, সারা বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। এই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের প্রথমেই জাটকা রক্ষা করতে হবে। সে জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।