ঢাকায় পর্যাপ্ত বিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও ঢাকা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ১৫ হাজার রিসাইকেল বিন স্থাপন করেছে। কিন্তু তার মধ্যে ৮০ শতাংশই চুরি হয়ে গেছে অথবা ভেঙে গেছে। ফলে শহরের ময়লা বা প্লাস্টিক ড্রেনে জমা হওয়ার কারণে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং প্লাস্টিক দূষণ বেড়েই চলেছে।
এদিকে রিকশার শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ রিকশা। ময়লা ফেলার জন্য শহরের সব জায়গায় বিন না থাকলেও রিকশা রয়েছে সবখানে। আর এই রিকশাগুলোতে যদি বিন স্থাপন করা যায় তাহলে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও এই রিকশা বিনগুলো চুরি হওয়ার আশঙ্কাও কম। কেননা রিকশাচালকেরাই এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
এই চিন্তা থেকেই বিদ্যানন্দ-এর উদ্যোগে রিকশার পেছনে মোবাইল রিসাইক্লিং বিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে রিকশা শিল্পের নান্দনিকতাকে মাথায় রেখে রিকশা বিনটি ডিজাইন করা হয়। এরপর রিকশাচালকদেরকে একটি অনুষ্ঠানে ডেকে এই প্রকল্প সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়।
যাত্রীরা ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্রভাবে না ফেলে রিকশার পেছনে থাকা বিনে ফেলবে। আবার রিকশা চলার পথে কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিকগুলোও সংগ্রহ করবে চালক। এ ছাড়া ধীরে ধীরে মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে এই বিন ব্যবহার করা শুরু করবে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকদেরকে বিক্রেতাদের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত করা হয়েছে যেন তারা ন্যায্যমূল্যে প্লাস্টিক বিক্রি করতে পারে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে এমন একটি মোবাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যেন বিনটি আর চুরি না হয়। এভাবে রিকশাচালকেরাও বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে ঢাকা শহর প্লাস্টিক নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকবে।
বিদ্যানন্দের হেড অফ ইমেজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সালমান খান ইয়াসিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মিরপুরে প্রায় ২০০ জন রিকশাচালককে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হবে। সরকারি কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে সার্বিক সহায়তা পেলে প্রকল্পটিকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া হবে, যেন সব রিকশাকে এই সিস্টেমের আওতায় আনা যায়।’