প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অবাধ পানিপ্রবাহ ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের জন্য হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে। ইতোমধ্যে আমি জমি ভরাট না করে হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকার প্রতিটি রাস্তা এলিভেটেড করার নির্দেশনা দিয়েছি।’
মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাওর এলাকার মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সব সময় পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
‘বর্ষা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের চলাচল যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এবং নৌকাসহ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য হাওরের সব সড়ক এলিভেটেড করা হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই সেনানিবাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকে এই এলাকায় বার বার নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে এবং তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
‘রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তার টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তার নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’