বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির চারুকলা আরও একমাস বন্ধ

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৫২

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আন্দোলনরত চবি চারুকলার স্নাতোকোত্তর শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘আমরা স্থানান্তর চাই, সংস্কার নয়৷ আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ততো আসেনি বরং শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটি দুঃখজনক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনকও বটে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট আরও এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে এই সময়ের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে।

সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪২তম সভায় (জরুরি সভা) গৃহীত ‘সিদ্ধান্ত-১’ এর আলোকে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম শহরস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে অবস্থিত একাডেমিক ভবন, আবাসিক হোস্টেল, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজসমূহ চলমান রয়েছে।

চলমান উন্নয়ন ও সংস্কার কাজসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গঠিত কমিটি কর্তৃক সময় বৃদ্ধি করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির কার্যকাল আগামী ৩০ মার্চ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বর্ণিত পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিধি-নিষেধ বলবৎ থাকবে।

১. আগামী ৩০ মার্চ তারিখ পর্যন্ত উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং উক্ত সময়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে।

২. উক্ত ইনস্টিটিউটের আওতাধীন শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলও ৩০ মার্চ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

৩. চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে কোনো শিক্ষার্থী চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আন্দোলনরত চবি চারুকলার স্নাতোকোত্তর শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘আমরা স্থানান্তর চাই, সংস্কার নয় ৷ আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ততো আসেনি বরং শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটি দুঃখজনক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনকও বটে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। পরে ২২ দফা দাবি হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। পরে গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ক্লাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা। তবে শর্ত পূরণ না হওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি ফের আন্দোলনে নামেন তারা।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সংস্কারকাজের জন্য ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর মূল ক্যাম্পাসে কয়েক দফা আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ৯ ফেব্রুয়ারি মূল ক্যাম্পাসে চারুকলার শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে হামলার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও বাংলার মুখের (বিএম)।

এ বিভাগের আরো খবর