নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় কৃষক সামসুল হক হত্যা মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে বাকি দু’জনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স বিবেচনায় এবং আরেকজনকে নারী বিবেচনায় আদালত নো-অর্ডার দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশ উপজেলার গালিমপুর এলাকার আব্দুল গাফফার, মো. আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া ও মারফত আলী।
খালাস পাওয়া দু’জন হলেন-মো. তোতা মিয়া ও মোছা. রূপবান।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আদেশের বিষয়ে মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭ জনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার মধ্যে ৫ জনের খালাসের রায় স্থগিত করে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আর দু’জনের খালাসের বিষয়ে নো-অর্ডার দেয়া হয়েছে।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে দণ্ডপ্রাপ্তরা জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলামকে মারধর করে। পরে কৃষক সামসুল হক সেখানে গেলে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সামসুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নুরজান বেগম পলাশ থানায় একটি হত্যা ও জখমের মামলা করেন।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২২ মে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া পাঁচজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি ৭ আসামিকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।