বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীন বিসিএস ক্যাডাররা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:০২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গত ১৪ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নবীনদের পরিবর্তনের এই ধারা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। নতুন বিসিএস ক্যাডাররা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে নবীন বিসিএস ক্যাডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গত ১৪ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নবীনদের পরিবর্তনের এই ধারা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান সরকারের একমাত্র লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে দেশবাসীর জন্য উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা।’

নতুন বিসিএস ক্যাডারদের ২০৪১ সালের সৈনিক আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আজকের অফিসাররাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।

‘সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃতী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ এক সময় বিদেশি দেশগুলোর কাছে অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

সবাইকে সঞ্চয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর মূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে এবং যুদ্ধ কখন থামবে তা নিশ্চিত নয়।

‘আমাদের সবাইকে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।’

প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে বলেন। একইসঙ্গে তিনি নবীনদের রাষ্ট্র পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণের আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করলে দুর্নীতি বেশি হয়। কারণ জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই আমরা জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি। দেশের সমৃদ্ধি ও সুশাসনই আমাদের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।

এ বিভাগের আরো খবর