বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঢাকার গলিতে ওত পেতে থাকে তারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৫২

ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অলি-গলিতে ওত পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।

রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ওত পেতে থাকে তারা। কেউ হেঁটে, রিকশা বা অন্য কোনো যানবাহনে যাওয়ার পথে তাদের কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নেয় মূল্যবান জিনিসপত্র। এমন সংঘব্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত র‌্যাব-৩-এর কয়েকটি দল এক সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে সোমবার দুপুরে টিকাটুলিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন খান।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীদের কাজের কৌশল নিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অলি-গলিতে ওত পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।

‘সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না।’

র‌্যাব জানিয়েছে, রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইচ গিয়ার, চাকু, ক্ষুর, এন্টিকাটার, কাঁচি, ব্লেড, মোবাইল ফোন এবং টাকাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র।

আরিফ মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা যে সব ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই করবে তাদেরকে আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকে এবং তার সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকে। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে ব্যক্তিকে সুবিধামতো কোনো জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়।

‘চক্রের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে জড়ায় ও মারধর শুরু করে। লোকজন এগিয়ে আসলে বলে, নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এ মারামারি। ততক্ষণে ছিনতাইয়ের কাজটি তাদের চক্রের কেউ একজন সেরে ফেলে।’

তিনি জানান, গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা তাদের ছিনতাইয়ের টাকায় বিভিন্ন ধরনের নেশা করে এবং কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এই চক্রের সদস্যদের অধিকাংশেরই রাজধানীতে বসবাসের জন্য স্থায়ী কোনো বাসস্থান নেই। অধিকাংশের বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে একই অপরাধে জড়ায়।

এ বিভাগের আরো খবর