কানাডার অন্টারিওতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ছাত্রী অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি এয়ারলাইনসে সোমবার তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
রাজধানীর মগবাজারের সেন্ট টমাস চার্চ সংশ্লিষ্ট একজন জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চার্চে অ্যাঞ্জেলার জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান হয়। এতে তার পরিবারের সদস্য, স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, বিকেল ৪টার দিকে তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি চার্চে অ্যাঞ্জেলার শেষকৃত্য হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্টারিওর ডান্ডাস স্ট্রিট সাউথবাউন্ড হাইওয়ে ৪২৭-এ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় অ্যাঞ্জেলাকে বহনকারী গাড়িটি। ওই গাড়িতে থাকা আরও দুই বাংলাদেশি ছাত্র শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্ত নিহত হন।
গাড়ির চালক ও শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড়কে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে। অসুস্থ ছেলের পাশে থাকতে স্ত্রীকে নিয়ে কানাডায় আছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
অ্যাঞ্জেলার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে তার মরদেহ দেশের পথে বলে রোববার সকালে নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নতুন দেশ-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক শওগাত আলী সাগর।
তিনি বলেছিলেন, ‘অ্যাঞ্জেলার লাশ টরন্টো সময় শুক্রবার রাত ১০টায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি এয়ারলাইনসে টরন্টো থেকে গেছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোররাতে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছুবে।’
কানাডায় পড়তে গিয়ে নিহত এ শিক্ষার্থীর বাবা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন শওগাত আলী সাগর।
অ্যাঞ্জেলার সঙ্গে দুর্ঘটনায় নিহত বাকি দুজনের বিষয়ে কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় মরদেহ দেশে আনতে খানিকটা সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।