যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সোবহান গোলাপের ৯টি বাড়ি থাকার খবরের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
অনুসন্ধান করে আগামী চার মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে উচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে গোলাপের ৯ বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের করা আবেদনটি নিষ্পত্তি করে তাকে জানাতে দুদককে নির্দেশ দেয় আদালত।
গোলাপের বাড়ি অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘আমি গতকাল হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, চার মাসের মধ্যে বিষয়টি অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দাখিল করতে। একই সঙ্গে আমি দুদকের কাছে যে আবেদন করেছিলাম, সেই আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আমাকে জানাতে বলেছেন।’
এমপি গোলাপ নিউ ইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কিনেছেন কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রোববার জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করার কথা জানান ব্যারিস্টার সুমন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), দুদক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
নিউ ইয়র্কে এমপি গোলাপের ৪০ লাখ ডলারে বাড়ি কেনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রিটে যুক্ত করা হয়।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ওসিসিআরপির বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো গত ১৪ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। বিষয়টি নির্বাচনি হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি।’
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবদুস সোবহান গোলাপ নিউ ইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন ২০১৪ সালে। সে বছর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বহুতল ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি।
পরের পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন দলের এমপি নিউইয়র্কে ৯টি ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক হন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি, যেটি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।