বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলা ট্রিবিউনের দুই কর্মীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ছিনতাইয়ের মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:৫৫

সাব্বিরের স্ত্রী সাথী বলেন, ‘আমাদের পাশের বাসায় অন্তর নামে একটি ছেলেকে শনিবার বিকেলে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীকালে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাব্বিরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাব্বিরকে ছিনতাইকারী সাব্যস্ত করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের দুই কর্মীকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ছিনতাইকারী হিসেবে আসামি করে মামলা দিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. সাব্বির ও মো. বাবু।

শনিবার রাতে রায়ের বাজারের বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশের করা মামলায় আসামি করে রোববার তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সোমবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে।

পুলিশের করা মামলায় বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়ের বাজার বৈশাখী মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণায় ফাঁকা রাস্তার ওপর কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। পুলিশ দেখে তারা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে জনসাধারণের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তবে ভিন্ন কথা বলছে সাব্বির ও বাবুর পরিবার। তাদের দাবি, শনিবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনে অফিসের কাজ শেষ করে রায়ের বাজারের বাসায় ফেরেন সাব্বির ও বাবু। রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার পর রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়।

সাব্বিরের স্ত্রী সাথী বলেন, ‘আমাদের পাশের বাসায় অন্তর নামে একটি ছেলেকে শনিবার বিকেলে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীকালে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাব্বিরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাব্বিরকে ছিনতাইকারী সাব্যস্ত করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

সাব্বির তার স্ত্রীকে নিয়ে এবং বাবু মা-বাবার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকলেও মামলার এজাহারে তাদের ভাসমান ছিনতাইকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাবুর মা লাকি বেগমও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছেলেকে ছিনতাইকারী সাজিয়েছে।’

কোন তথ্যের ভিত্তিতে বাসা থেকে ওই দু’জনকে তুলে নেয়া নিয়ে ছিনতাইকারী বলা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে মামলার বাদী রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অন্তর নামে এক ছিনতাইকারীকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে ১০ জনের মতো নাম পাওয়া যায়। সে তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে রায়ের বাজার বৈশাখী মাঠের পাশ থেকে সাব্বির, বাবু, মিনহাজ ও রমজানকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় ওরা একসঙ্গে ৫-৬ জন ছিল। বাকিরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার আসামিরা পালিয়ে যাওয়াদের নাম বলছে না।’

উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছিনতাই মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই গ্রুপটা নতুন। রাতের বেলা ঘুরতে ঘুরতে ছিনতাই করে। আরও যারা জড়িত তাদের নামও পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’

প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মী গ্রেপ্তারের বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করেই কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই দুজন ক্লিনিং স্টাফ হিসেবে কাজ করেন। তাদের বিরুদ্ধে কখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শনিবার ডিউটি শেষে রাত ৮টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে তারা বাসায় যায়। রাত আড়াইটায় সাব্বিরের স্ত্রী সাথী ফোন করে জানান, পুলিশ সাব্বির ও বাবুকে তুলে নিয়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর