আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে মানুষ এখন ঘৃণা করছে মন্তব্য করে এই সরকারের পরিবর্তন চাইলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ২০০৯ সালে পিলখানায় শহীদদের স্মরণে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের দেয়ালের লেখা পড়ার পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের চোখের ভাষা দেখেন। দেখবেন এই সরকারের প্রতি মানুষের শুধু ঘৃণা আর ঘৃণা। এই মুহূর্তে সবাই চায় এই সরকারের পরিবর্তন।’
তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসছে। আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’
দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক হতে হবে। এটা শুধু বিএনপির বা অন্য কোনো দলের জন্য নয়। দেশের মানুষের জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য আজ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেউ এখানে নিরাপদ নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত আগস্ট মাস থেকে আমরা যখন চাল, ডাল, তেল ও লবণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছি, তখন থেকে সরকার গুলি করে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
‘ইতোমধ্যে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, এখনও আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। এই যে ভয়াবহ, এর থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।