বার থেকে মদ এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগির সময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের যুবক ফারুক হোসেনক ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যার ঘটনায় তিনজনকে শনিবার পশ্চিম রাজাবাজার ও মোল্লাবাড়ী বস্তি এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাদ্দাম হোসেন সাব্বির ওরফে সিটু সাব্বির ওরফে সাগর, মো. রনি ও মো. বিজয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু ও ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উপ-কমিশনার আজিমুল হক বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে তেজগাঁও পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে পূর্ব পরিচিত রনির সঙ্গে ফারুক হোসেন আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার এক পর্যায়ে সাদ্দাম তাদের সঙ্গে আড্ডায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, সাদ্দাম ও সাগর এক বছর কারা ভোগের পর জামিনে এসে দুই দিনে ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করেন। পরবর্তীতে ফারুক ও গ্রেপ্তার আসামিরা ছিনতাই করা মোবাইল ফোন বিক্রি করে বারে গিয়ে মদ পান করতে চান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সাদ্দাম বার থেকে মদ এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগির সময় ফারুকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং ছিনতাই করা মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়ে নিজেদের মধ্যে গালমন্দ হয়। পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে সাদ্দাম নিজের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ফারুকের বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুক ফুটপাতে পড়ে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, ফারুকে স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হত্যায় সাম্ভব্য জড়িতদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে তেজগাঁও থানা পুলিশের দুইটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
উপ-কমিশনার আজিমুল হক জানা, গ্রেপ্তার সাদ্দামের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানা ও হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র, দস্যুতা ও মাদক সংক্রান্ত ৭টি মামলা রয়েছে। রনির বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্ত ১৩টি মামলা রয়েছে। বিজয়ের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্ত ১৭টি মামলা রয়েছে।