বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে কারা, সেই তদন্ত হয়নি: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৪৭

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র এদেশের বিরুদ্ধে, এই জাতির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা ব্যবস্থা আমাদের সার্বভৌমত্ব আমাদের স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় এর পেছনে যারা রয়েছেন তাদের বের করে নিয়ে আসার জন্য যে তদন্ত প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র এদেশের বিরুদ্ধে, এই জাতির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা ব্যবস্থা আমাদের সার্বভৌমত্ব আমাদের স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।

‘এদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়া। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য যারা প্রাণ উৎসর্গ করেন, তাদের নৃশংসভাবে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের বের করে নিয়ে আসার যে তদন্ত প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে হয়নি।’

তিনি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়ার জন্য পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করা হয়েছে। একটি ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব সেনা কর্মকর্তারা আমাদের দেশের সম্পদ ছিলেন। আজকের দিনে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তাদের সবাইকে বেহেশত নসিব করেন। এ ছাড়া অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতিও আমাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

বিএনপি মহাসিচব বলেন, ‘প্রায় ৭ হাজারের মতো সৈনিক যারা অনেকেই সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন, এখন পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানি শেষ করা হয়নি। কারাগারে তারা ১৩ থেকে ১৪ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের পরিবার এবং সমস্ত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

‘আমি আজকে দাবি করব তাদের বিরুদ্ধে যে জুডিশিয়াল সমস্যাগুলো রয়েছে তা অতি দ্রুত সম্পাদন করে একটা ব্যবস্থা করা উচিত, তাদের মুক্তি হওয়া উচিত। তাদের পরিবারগুলোকে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ব্যবস্থা করবেন।’

‘বিডিআর বিদ্রোহের দিন (বিএনপি প্রধান) খালেদা জিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল’ বলে এক আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা দায়িত্বহীন একটি কমেন্ট। বড় একটি ঘটনা যেখানে সমস্ত জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে যার সম্পর্কে এ কথা বলা হচ্ছে তিনি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য সারাটি জীবন কাজ করছেন। এখনো গণতন্ত্রের জন্য কারান্তরীণ রয়েছেন।

‘তিনি (খালেদা জিয়া) বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের স্ত্রী ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ছিলেন। এগুলো একেবারে ডাইভারশন করা। উনারা (আওয়ামী লীগ) মূল সমস্যায় না গিয়ে অন্যদিকে যেতে চান। কারণ এই ঘটনাগুলো সেভাবে সেসময় সমাধান করতে পারেননি।’

এ বিভাগের আরো খবর