জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নিজের দলের জন্য ভোটও চেয়েছেন তিনি।
শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুত আছেন? খেলা হবে আন্দোলনে। নির্বাচনেও খেলা হবে। নৌকা চলবে ভাসিয়া, ভোট দেবেন হাসিয়া। সবাই তৈরি হয়ে যান।
‘খেলায় তারা (বিএনপি) পারবে না। তারা হেরে গেছে। নির্বাচনে না এলে তাদের অস্তিত্ব টিকবে না। মনে রাখবেন আন্দোলন করতে জনগণ লাগে। বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের সঙ্গে অগ্নিসন্ত্রাস আছে, পেট্রোল বোমা আছে, ককটেল আছে, লাঠি আছে। এই অপশক্তি সুযোগ পেলে আবারও ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানাবে। রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানাবে। নারীদের অবস্থা হবে আফগানিস্তানের মতো। ইউনিভার্সিটিতে পড়তে পারবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের চাকরি হবে না। বোরকা পরে ঘরের কোনায় বসে থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘’বিএনপি আসলে রাজাকারদের স্বাধীনতা আর একুশে পদক দেবে। কারণ বিএনপি যাদের সঙ্গে রাজনীতি করে তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, স্কুল পুড়িয়ে দেয়। এই অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতাদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। ’
বিএনপি পথ হারিয়ে এখন দিশেহারা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এখন পদযাত্রায় নেমেছে। পতন যাত্রা শুরু হয়েছে বিএনপির। তাদের আর সহ্য হয় না। তারা শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে পারে না। কারণ পদ্মা সেতুর কথা শুনলে, দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। মেট্রোরেল দেখলে তাদের জ্বলে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেখলে তাদের জ্বালা করে। তারা অন্তর্জ্বালায় ভুগছে।’
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে। এরা স্বাধীনতার শত্রু, জয় বাংলার শত্রু। ১৬ ডিসেম্বরের শত্রু। এরা ক্ষমতায় এলে জয় বাংলা নিষিদ্ধ হবে। ৭ মার্চ নিষিদ্ধ হবে।’