ঢাকার সাভারে আলাদা দুটি ঘটনায় গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের দুই মেয়ে ও তাদের মাসহ চারজন। দগ্ধ চারজনই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আশুলিয়ার কাঠগড়া আমতলা এলাকার আলী আহমেদের বাড়িতে শনিবার সকাল ৬টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে চুলা জ্বালাানোর সময় দগ্ধ হন একই পরিবারের মা ও মেয়েসহ তিনজন।
আরেক ঘটনায় সাভারের সবুজবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় তিতাস গ্যাসের লিকেজের আগুনে গিয়ে দগ্ধ হন এক দিনমজুর।
কাঠগড়া এলাকায় একই পরিবারের দগ্ধরা হলেন ৪০ বছর বয়সী গার্মেন্টস শ্রমিক ইয়াসমিন আক্তার, তার মেয়ে ২০ বছর বয়সী শ্রমিক শিমা আক্তার, শিক্ষার্থী ১২ বছর বয়সী সুমা আক্তার। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার বাসিন্দা।
আরেক ঘটনায় দগ্ধ ৪৫ বছর বয়সী মোমিনুল ইসলাম দিনমজুর। তার বাড়ি জামালপুর জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়ির ম্যানেজার আবু ইউসুফ জানান, বাসার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন ইয়াসমিন ও তার দুই মেয়ে। ইয়াসমিন ও তার বড় মেয়ে শিমা স্থানীয় আলাদা দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আর ছোট মেয়ে সুমা স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোরে গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য ইয়াসমিন রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গিয়ে আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় ইয়াসমিন ও তার দুই মেয়ে দগ্ধ হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকেই চুলা জ্বালাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটছে।
সবুজবাগ এলাকায় দগ্ধ মোমিনুলের স্বজনরা জানান, শনিবার ভোর রাত চারটার দিকে মোমিনুল চুলা জ্বালাতে গেলে গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন জ্বলে ওঠে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে বুক ও পেটের অংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট আশুলিয়া সাভার থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মালেকা বানু এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
সাভার ও ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিরত সদস্যরাও এসব বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজন দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের শরীরের ৫০ শতাংশ বার্ন হয়েছে।