রাজধানীর গুলশানে আগুনে দগ্ধ সামা রহমানের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন জানিয়েছেন চিকিৎসক। বুধবার দুপুরে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সামা সিনহাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যান্য সব রোগীর জন্য আইসোলেশন না। কিন্তু এটা সেনসেটিভ ইস্যু বলে আমরা বাইরের কাউকে অ্যালাউ করছি না। তার হাজবেন্ড শুধু ভেতরে যেতে পারছেন। আমরা চারদিক কাভার দিয়ে তাকে সুরক্ষায় রেখেছি।’
কত শতাংশ পুড়েছে জানতে চাইলে ডা. সামন্ত বলেন, ‘এটা পরিমাপ করা যায় বাইরে পুড়লে। শ্বাসনালিরটা কোনো মেজারমেন্ট দেয়া যায় না। ডেভেলপ করছে অবস্থা। তবে আমি বলব উনি কোনোভাবেই বিপদমুক্ত নন। এরকম রোগীর ক্ষেত্রে ১৫ দিন পরও সমস্যা হতে পারে।
‘আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড নিয়মিতই আলোচনায় বসছে। সামার বেচে যাওয়া একটা মিরাকেল। এভাবে আগুনে পুড়ে সাত তলা থেকে পড়লে কেউ বাঁচে না।’
ডা. সামন্ত আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আগুনে দগ্ধ রোগী আসছে। কিন্তু আগুন কেন লাগে, মানুষের বের হওয়ার পথ কেন নেই ভবনগুলোতে এগুলো নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর সময় অনেক আগেই চলে এসেছে। এগুলো নিয়ে কাজ করেন আপনারা।’
গুলশান-২-এর একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় শরীরে আগুন নিয়ে সাত তলা থেকে সুইমিংপুলে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন সামা রহমান সিনহা। ৩৮ বছর বয়সী সামা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ও একমি গ্রুপের পরিচালক ফাহিম সিনহার স্ত্রী।