বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি বলেই দ্রুত কোটালীপাড়া আসতে পারছি’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:২৭

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি বলেই আজকে এত দ্রুত আমরা এই কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া আসতে পারছি বা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি।’  

নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় ঢাকা থেকে এত দ্রুত গোপালগঞ্জ কিংবা দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনাকীর্ণ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কোটালীপাড়ার সংসদ সদস্য ও সরকারপ্রধান।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় কোটালীপাড়ার লোকজনকে সাঁকো দিয়ে এপার থেকে ওপারে যেতে হতো। স্টিমারে গন্তব্যে যেতে তাদের দীর্ঘ সময় লাগত, তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সেতু ও সড়ক নির্মাণ করায় যোগাযোগ এখন অনেক সহজ হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি বলেই আজকে এত দ্রুত আমরা এই কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া আসতে পারছি বা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি।’

বক্তব্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তাতে সফল হয়নি।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ, সেটা নিয়ে অনেক অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সেটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি; জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি।

‘তাই যখন কেউ মিথ্যা অপবাদ দেয়, সে অপবাদ নিতে আমি রাজি না এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এই অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সেটা সফল হয় নাই; দিতে পারেনি।’

বিশ্বব্যাংকসহ চারটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের ওপর ভর করে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।

সেতুর নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে সংস্থাটি অর্থায়ন স্থগিত করলে তদন্ত শুরু করে দুদক।

ওই তদন্ত পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান আইনজীবী ওকাম্পোর নেতৃত্বে ২০১২ সালে দুই দফায় বাংলাদেশে আসে তিন সদস্যের বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষক প্যানেল।

পর্যবেক্ষক দলের পরামর্শে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দুদকের করা মামলায় কারাবরণ করতে হয় সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে। পরে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

২০১৭ সালে কানাডার একটি আদালতও বিশ্বব্যাংকের আনা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের প্রমাণ পায়নি বলে জানায়।

এ বিভাগের আরো খবর