লালমনিরহাটে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া দুজনের খোঁজ মিলেছে।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই সদস্যের খোঁজ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাদের পরিবার।
এর আগে বুধবার লালমনিরহাটে খালাস পাওয়া জামাল উদ্দিন ও মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসানের কোনো খোঁজ না মেলায় লালমনিরহাট সদর থানায় দুইটি লিখিত অভিযোগ করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে খালাস পাওয়া জামাল উদ্দিনের ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে যে, আমার ভাই ঢাকায় আছে এবং বলে তাকে এসে নিয়ে যান। পরে আমরা তাকে নিতে ঢাকায় যাই। আমরা জামাল ও মেহেদীকে পেয়েছি তাদের নিয়ে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ১১ টায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান দুই জেএমবি সদস্যের আলাদা আলাদা তিনটি রায়ে ৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একই আদালত মামলায় খালাস দেয় হাসানুল বান্না, জামাল উদ্দীন, নাহিদ হাসান ও মেহেদী হাসান নামের চার আসামিকে।
আসামিদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও মেহেদী হাসান জেলা কারাগারে ছিলেন। আর একজন পলাতক ও একজন জামিনে মুক্ত ছিলেন।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে খালাস পাওয়ার পর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জামাল ও মেহেদী জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পান। বের হয়ে জেল গেট ও মসজিদের কাছে থেমে থাকা মাইক্রোবাস থেকে ৮ থেকে ৯ জন মাস্ক পরা লোক তাদের জোর করে তুলে নিয়ে চলে যান। বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে লালমনিরহাট সদর থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ জানান জামাল উদ্দিনের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ ও মেহেদী হাসানের বাবা মো. আবদুল লতিফ।