চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোহরাওয়ার্দী হল ও আলাওল হলে শুক্রবার রাত সোয়া ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রক্টোরিয়াল বডি ও পুলিশ মিলে এ তল্লাশি চালায়।
তল্লাশিতে দুই হল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই হলে তল্লাশি চালাই। আমাদের কাছে তথ্য ছিল হলে বহিষ্কৃত ও বহিরাগত অনেকে হলে অবস্থান করছে, তবে তল্লাশিতে আমরা কাউকে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তল্লাশি চালিয়ে দুটো হল থেকেই দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, ছুরি, রড, কাচের বোতল, কয়েক বস্তা ভাঙা পাথর পেয়েছি। কাউকে আটক করা হয়নি।
‘সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
হলের কক্ষ দখলে রাখা ও গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে অন্তর্কোন্দল চলছিল। একুশ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারী কর্মীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল থেকে ফুল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হল প্রাঙ্গণে গেলে দেলওয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ১৫ কর্মী আহত হন।
সেই ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার বিকেলে আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা করেন। এর পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যাতে আহত হন আরও চারজন।