আট বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হতে যাচ্ছে সমাবর্তন, যা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ষষ্ঠ সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শুরু হবে।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে মনোরম করে সাজানো হয়েছে। ডিগ্রিপ্রাপ্তদের হাস্যোজ্জ্বল পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। কালো রঙের গাউন-টুপি-কস্টিউম পরে ক্যাম্পাসজুড়ে ছবি তোলা, সহপাঠীদের নিয়ে দলবেঁধে গল্প করা এবং ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে ১২ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থায়ন করবে এক কোটি টাকা। আর বাকি টাকার জোগান দেয়া হবে সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে।
এবারের সমাবর্তনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেন ১৫ হাজার ২২৩ জন। এদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৬, এমফিল ডিগ্রির ৩৪, পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮১ এবং সাপ্তাহিক কোর্সের (স্নাতকোত্তর) ৩ হাজার ৪৬২ জন রয়েছেন।
সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সবগুলো বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেয়া হবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবর্তনস্থলের ফটক খুলে দেয়া হবে এবং আড়াইটার মধ্যে সবাইকে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্যান্ডেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
ওই সময় পানির বোতল, মোবাইলসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী সঙ্গে নেয়া যাবে না। আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। সমার্তন অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভেতরে ও বাইরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পর সমাবর্তন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সুন্দর ও সুষ্ঠু আয়োজনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।