পটুয়াখালী শহরের বনানী এলাকায় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
শহরের বনানী এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পটুয়াখালী সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. রিমাইনুল ইসলাম রিমু, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকারিয়া, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. মাছুম।
আহত সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক রিমু বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনানী এলাকায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ের পাশেই চায়ের দোকানে আড্ডা দিছিলাম। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। লাঠি হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে চলে যায়। এরমধ্যে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা ৫ থেকে ৭ জন নেতা-কর্মী রক্তাক্ত জখম হলে স্থানীয়রা আমাদেরকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
আহত ছাত্রদল নেতা জাকারিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আরিফের নেতৃত্বে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত না। যদি হামলা বা আহত হয়ে থাকে তবে তা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই হতে পারে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংষু সরকার কুট্টি বলেন, ‘শনিবার সকালে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি পথযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ওই কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশে ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে দলের নেতাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের পোলাপান শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই আমাদের বনানী এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহড়া দিতে থাকে। তবে যতই হামলা করা হউক শনিবারের প্রোগ্রাম আমরা যেকোনো উপায়ে হোক করব।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘লোকমুখে ঘটনা শুনছি। তবে, কে বা কারা আহত হয়েছে তা জানার জন্য হাসপাতালে লোক পাঠানো হয়েছে। আমরাও শহরে আছি, মুভমেন্ট করতেছি। দেখতেছি সেখানে কি হয়েছিল।’